নগদ একাউন্টের পিন বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যেভাবে রিসেট করবেন।


নগদ একাউন্টের পাসওয়ার্ড বা পিন ভুলে গেলে কিভাবে ফরগেট পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে পিনটি রিসেট করবেন সেই প্রসেস আজকের এই পোস্টে বলার চেষ্টা করব। আগে কাস্টমার কেয়ারে কল করার মাধ্যমে পিন রিসেট করতে হতো। গত কয়েকদিন আগে নগদ একটি অপশন চালু করেছে। সেটি হচ্ছে ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে পিন রিসেট করার অপশন। তাই বর্তমানে দুই পদ্ধতিতে পিন রিসেট করতে পারবেন।

১। কাস্টমার কেয়ারে কল করার মাধ্যমে

২। *167# ডায়াল করে (ঘরে বসে)

প্রথম অপশনটা কিছুটা ব্যয়বহুল; কাস্টমারদের কাছে অপছন্দনীয়ও বটে। কারন কাস্টমার কেয়ারে কল করতে হয়। কল রিসিভ করার পর অনেক সময় নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন হয়। কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার কাছে কিছু ইনফরমেশন জানতে চাইবে। সেই ইনফরমেশন গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে বলতে পারেন তাহলেই আপনার অ্যাকাউন্টের পিন টি তারা রিসেট করে দিবে।

আজকে দ্বিতীয় অপশন নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে বলে রাখি নগদ একাউন্টটি যে সিমে ওপেন করা হয়েছিলো, মোবাইলের ভিতরে সেই সিমটি থাকতে হবে।


নগদ একাউন্ট এ লগইন কোড

প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়ালপ্যাড ওপেন করবেন। ওপেন করার পর *167# ডায়াল বাটনে ক্লিক করবেন।



ডায়াল বাটনে ক্লিক করলে সিম সিলেক্ট করতে বলবে যদি ডুয়েল সিম সাপোর্ট করে এমন মোবাইল হয়। আমার বাংলালিংক সিমে নগদ একাউন্ট রয়েছে।



নগদের সকল সার্ভিস গুলো সামনে চলে আসবে অর্থাৎ নিচের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সেন্ড বাটনে ক্লিক করবেন।



সর্বশেষ যে ৮ নাম্বার অপশনটি দেখতে পারছেন সেটি হচ্ছে পিন রিসেট অপশন। গত কিছুদিন আগে নগদ তাদের সিস্টেম আপডেট করে এই পিন রিসেট অপশনটি চালু করেছে। আপনি যেহেতু পিন রিসেট করবেন তাই আপনাকে ডায়ালপ্যাড থেকে ৮ প্রেস করতে হবে। 


এখন আপনার সামনে দুটি অপশন আসবে।  প্রথমটি ফরগেট পিন , দ্বিতীয়টি চেঞ্জ পিন।তাই আপনি যেহেতু তিনটি ভুলে গিয়েছেন তাই আপনাকে নতুন করে একটি পিন সেট করতে চাই। প্রথম অপশন সিলেক্ট করার জন্য ১ প্রেস করবেন। 


এরপর যে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে নগদ একাউন্টটি তৈরি করা হয়েছিল, সেই ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার প্রয়োজন হবে। আইডি কার্ড দেখে দেখে আইডি নাম্বারটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন। সতর্ক থাকবেন যেন আইডি নাম্বারটি ভুল না হয়। 

আইডি নাম্বারটি সঠিকভাবে দেওয়া হয়ে গেলে জন্ম সাল প্রদান করতে হবে। ন্যাশনাল আইডি কার্ডে যে জন্ম সালটি রয়েছে সেই জন্ম সাল কি সঠিকভাবে লিখবেন। 

ন্যাশনাল আইডি নাম্বার এবং জন্মসাল যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার কাছে আরেকটি ইনফরমেশন জানতে চাইবে। গত ৯০ দিনে এই নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন করেছেন কিনা। দেখতে নিচের ছবির মত দেখাবে।



দুটি অপশন দেখতে পাবেন। যদি কোন ট্রানজেকশন করে থাকেন তাহলে প্রথম অপশন সিলেক্ট করবেন। আর যদি কোন ট্রানজেকশন করে না থাকেন তাহলে দ্বিতীয় অপশন সিলেট করবেন। 

২। যদি কোন ট্রানজেকশন না করে থাকেন:

যদি সব ইনফরমেশন সঠিক থাকে তাহলে আপনার কাছে একটি এসএমএস আসবে। "প্লিজ ওয়েট ফর এসএমএস কনফার্মেশন" লেখা থাকবে। 

এরপর নতুন করে আপনাকে আবার মোবাইলে ডায়ালপ্যাড ওপেন করে *167# ডায়াল করতে হবে। তখন আপনার কাছে নতুন পিন অর্থাৎ আপনি নতুন করে যে পিনটি সেট করতে চান সেই পিনটি দিবেন। 

আপনার দেওয়া পিন সঠিক হয়েছে কিনা সেটি কনফার্মেশন করার জন্য আপনাকে পিনটি আবারও দিতে হবে। দুইবার সঠিকভাবে যদি দিতে পারেন তাহলে আপনার নগদ একাউন্টে নতুন একটি পিন সেট হয়ে যাবে। পরবর্তীতে এই পিন ইউজ করে আপনি আপনার সকল কাজ করতে পারবেন।


১। যদি আপনি ট্রানজেকশন করে থাকেন:

মনে রাখবেন যদি কোন ট্রানজেকশন করে থাকেন যেমন: 

ক্যাশ আউট, 

সেন্ড মানি, 

মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি। 

ক্যাশ আউট করলে সেই অপশন সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি সেন্ড মানি করেন তাহলে সেন্ড মানি অপশন সিলেট করতে হবে।



যদি আপনি ক্যাশ আউট করে থাকেন তাহলে কত টাকা ক্যাশ আউট করেছিলেন সেটি দিতে হবে। 


সব ইনফরমেশন গুলো সঠিক হলে আপনাকে একটি এসএমএস পাঠাবে। "প্লিজ ওয়েট ফর এসএমএস কনফার্মেশন" লেখা দেখানোর পর নিচের এসএমএসটি আসবে।



এরপরে মোবাইলের ডায়াল প্যাড এ গিয়ে আবার *167# লিখে ডায়াল করবেন। ডায়াল করলে একটি ইন্টারফেস আসবে। সেখানে আপনি যে পিনটি নতুন করে সেট করতে চাচ্ছেন সেটি দিবেন।



এই যে পিনটি দিয়েছেন সেটি সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য আবারও একটি ইন্টারফেস আসবে। সেম পিন টি আবার ও দিবেন।


কনফার্মেশন করা হয়ে গেলে সেন্ড বাটনে ক্লিক করবেন। আপনার কাজ শেষ। আপনার নগদ একাউন্টের পিনটি রিসেট হয়েছে।

বর্তমান সময়ে একটি নগদ একাউন্ট আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ বিভিন্ন ধরনের কাজে একটি নগদ একাউন্ট প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে সরকার নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে কিছু সার্ভিস জনগণের কাছে প্রদান করে থাকে যেমন: মেধাবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, ভূমিহীনদের জন্য সাহায্য , দুর্যোগকালীন সাহায্য ইত্যাদি। আপনার যদি একটি নগদ একাউন্ট থাকে এবং সেই একাউন্ট নাম্বার যদি বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে সাবমিট করতে না পারেন তাহলে সরকার প্রদত্ত সার্ভিসগুলো থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। 

এ সম্পর্কে আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আজকের লেখা এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন! ধন্যবাদ!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url